বেলাবতে ১৫০ টাকার জন্য কলেজ ছাত্রকে হত্যা
স্টাফ রিপোর্টার: বেলাবতে ১৫০ টাকা পাওনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের শাবলের আঘাতে আহত কলেজ ছাত্র মো. ইসমাইল হোসেন ৫ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রবিবার ভোরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
ইসমাইল হোসেনের মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। নিহত ইসমাইল হোসেন উপজেলার বাজনাব ইউনিয়নের বীরবাঘবের গ্রামের দরিদ্র কৃষক আ: আউয়ালের ছেলে এবং হাড়িসাংগান কারিগরি মহাবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির মেধাবী ছাত্র। এলাকাবাসি ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বীরবাঘবের গ্রামের আ: ছাত্তারের ছেলে আলমগীর, নজরুলের ছেলে ফয়সাল, ফাইজ উদ্দিনের ছেলে সোহরাব, কাঞ্চন মিয়ার ছেলে শাহাদত হোসেন, লিয়াকত আলীর ছেলে মেহেদী, রাজু মিয়ার ছেলে সোহরাব নিহত ইসমাইল হোসেনের কাছে ১৫০ টাকা পাওনা পেত। উক্ত টাকার ব্যাপারে গত ৩০ মে বুধবার বিকেলে বীরবাঘবের গ্রামের তেঁতুলতলা নামক স্থানে ইসমাইল হোসেনের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাদের হাতে থাকা শাবল দিয়ে ইসমাইল হোসেনের মাথায় এলোপাথারিভাবে আঘাত করে ফেলে চলে যায়। পরে নিকট আত্মীয়রা আহতবস্থায় ইসমাইলকে প্রথমে বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। সেখানে আইসিওতে ৫ দিন চিকিৎসাধীন থেকে গতকাল রবিবার ভোরে মো. ইসমাইল হোসেনের মৃত্যু হয়। সরেজমিনে নিহতের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় প্রিয় সন্তানকে হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা নুরজাহান বেগম ও বাবা আ: আউয়াল। এ সময় তিনি সন্তান হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানান।
এলাকার অনেকেই জানান, ইসমাইল হোসেনকে হত্যাকারী সবাই স্থানীয় ভাবে বিএনপির (সংস্কারপন্থী) হিসেবে পরিচিত ও প্রভাবশালী। এলাকাতেও তারা উশৃঙ্খল হিসেবে পরিচিত। মাত্র ১৫০ টাকার জন্য একজন মেধাবী ছাত্রকে যারা হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্ত মূলক বিচার হওয়া উচিত। বেলাব থানার ওসি মো. বদরুল আলম খাঁন বলেন, ঘটনার সতত্য স্বীকার করে বলেন এ ব্যাপারে নিহতের বাবা আ: আউয়াল বাদী হয়ে বেলাব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
0 comments:
Post a Comment