স্টাফ রিপোর্টার: প্রকৃত হত-দরিদ্রদের জন্য ১০ টাকা কেজি চাল বিতরণ করার কথা থাকলেও কাঁচিকাটা ইউপি  চেয়ারম্যান একই ব্যক্তির নাম কয়েকবার উল্লেখ করে তালিকা প্রণয়ন করেছেন বলে জানা গেছে।
সে মোতাবেক গত ৫ এপ্রিল কাঁচিকাটা ইউনিয়নের ডিলার রফিকুল ইসলাম চাল বিতরণ না করে নিজেই আত্মসাৎ করার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ধরা পড়ে।
গত ২১ মে মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস কক্ষে চাল আত্মসাতের ঘটনা প্রমাণিত হলে ডিলার রফিকুল ইসলামকে চালের ডিলার থেকে বরখাস্ত করা হয় এবং জরিমানা করা হয়। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সদস্য সচিব জানান, কাঁচিকাটা ইউনিয়নের বারুদিয়া ভূঁঞার বাজারের বরখাস্তকৃত খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ডিলার মো. রফিকুল ইসলাম ৫৭ বস্তায় ২৮৫০ কেজি চাল আত্মসাৎ করেন। উক্ত আত্মসাৎকৃত ২৮৫০ কেজি চালের সরকারি বিধি মোতাবেক অর্থনৈতিক মূল্যের দিগুণ হারে সর্ব মোট ২৮৫০ কেজি ৩৬ টাকা ২২,০৫,২০০ টাকা হয় বলে সভায় উপস্থাপন করা হয়। উক্ত টাকা ডিলারের নিকট হতে আদায় করে ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে কমিটিকে অবহিত করার জন্য উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে পরামর্শ দেওয়া হয়।
এছাড়াও ডিলারের দোকানে ১৪৮ বস্তায় ৭৪০০ কেজি চাল পার্শ্ববর্তী ডিলার দ্বারা নির্ধারিত তালিকাভুক্ত, ভোক্তাদের নিকট বিক্রি করা হয়। বিক্রিত চালের ৬২৯০০ টাকা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে জমা রয়েছে। আত্মসাৎকৃত ২৮৫০ কেজি চালের ২,০৫,২০০ টাকা বরখাস্তকৃত ডিলারের নিকট থেকে আদায়ের পর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে জমাকৃত ৭৪০০ কেজি চালের ৬২৯০০ টাকা বরখাস্তকৃত ডিলারের সরকারি বিধি মোতাবেক প্রদানের জন্য উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে উপদেশ দেওয়া হয়।

0 comments:

Post a Comment