মুহা. ইসমাইল খান: নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী শিবপুর ও বেলাব উপজেলার আংশিক এলাকায় চারদিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় প্রায় ৫৫ হাজার গ্রাহকের জনজীবন অতুষ্ট হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ মনোহরদী জোনাল অফিসের আওতায় মনোহরদী উপজেলা এবং শিবপুর ও বেলাব উপজেলার আংশিক এলাকার ৫৫ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করছেন। (১০ জুন) শনিবার দুপুর থেকে হঠাৎ ধমকা হাওয়া ও অবিরাম বৃষ্টি বর্ষণ শুরু হয়। প্রকৃতির এমন বিরূপ প্রভাবে গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ বিদ্যুৎ লাইনের উপর গাছের ডাল কিংবা বাঁশ ভেঙ্গে পড়ে। আর এতেই প্রায় ৫৫ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক চারদিন ধরে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন।
বাসা-বাড়িতে ফ্রিজে রাখা মাছ-মাংস, ফল-মূল পঁচে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। বিদ্যুৎ না থাকায় বাসা-বাড়িতে পানিও নেই। এতে মানুষের দৈনন্দিন কাজ ব্যহত হচ্ছে। প্রায় ৮০ শতাংশ গ্রাহকের মোবাইল ফোনের চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ায় তা বন্ধ হয়ে গেছে। চার্জ না থাকায় ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা-ইজিবাইক রাস্তায় চলাচল করছে না। সরকারি অফিস, ব্যাংক, হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সংকট তৈরী হয়েছে।
মনোহরদী পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, ঝড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের উপর বাঁশ ও গাছের ডাল-পালা পড়ে অনেক ক্ষতি হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কর্মীরা কাজ করছে।
মনোহরদী উপজেলার গাংকুলকান্দী গ্রামের মো. সোহেল মিয়া জানান, চারদিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় সেহরী, ইফতার ও তারাবীহ নামাযের সময় চরম যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে। হাসিনা আক্তার হিমু জানান, আকাশ মেঘলা হওয়ার আগেই বিদ্যুৎ চলে যায়। এ জন্য পল্লী বিদ্যুতের অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করেছেন তিনি।
মনোহরদী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সহকারী উপ মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) আকাশ কুসুম বড়–য়া জানান, বিভিন্ন এলাকায় ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের উপর গাছপালা পড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। আজকের (গতকাল) মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে জানান তিনি।


0 comments:

Post a Comment