এম.আর.ওয়াসিম : কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব পৌর এলাকার বাস স্ট্যান্ডে অবস্থিত ইসমত কর্ম কারের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলা জজ আদালত কর্তৃক রায় প্রাপ্ত বাড়িটি আবারো গত প্রায় ২ মাস আগে বাড়াটিয়া গুন্ডা এনে গনি গং বাড়িটি দখল করে নেয়। এতে গনি গং এর পক্ষে একজন বাড়াটিয়া গুন্ডা অপৃতিকর অবস্থায় নিহত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গনি গং ইসমত ইছমত কর্মকারের ছেলেদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার ভয়ে ইছমতের ছেলেরা ভয়ে পালিয়ে যান। আর এই সুযোগের সৎ ব্যবহারটি গনি গং ইছমত কর্মকারের বাড়িটি আবার তারা দখলে নিয়ে যায়। যদিও হত্যার সাথে জায়গা দখলে কোন সর্ম্পকই নেয় কিন্তু দুঃখজনক বিষয় এই যে, লোভী গনি গং তার বাড়াটিয়া গুন্ড পান্ডা নিয়ে ইছমত কর্মকারের বাড়িটি দখল করে। নিহতের লাশটি ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ পাঠানো হয় । স্থানীয় লোকজনদের মধ্যে কেউ কেউ বলেন যে, নিহত ব্যক্তিটি স্ট্রুক করে মৃত্যুবরন করেন । এখন কোনটি সত্য কোনটি মিথ্যা তা ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর বলা যাবে। দীর্ঘ ৪০ বছর মামলা চালিয়ে ইছমত কর্মকার জেলার জজ আদালত কর্তৃক ইছমত আলী কর্মকারের পক্ষে রায় পান । কমলপুর মৌজার ১৩৩ নং খতিয়ানের ৬৯১৫ নং দাগের প্রায় পৌনে নয় শতাংশ ভূমি বাড়ি দখল সত্ত্ব বুঝে পায় নিরীহ কর্মকার মো: ইছমত মিয়া । কিন্তু তার পরে ও গনি গংরা বিভিন্ন প্রভাবশালী ও ঘুষখোর দালালদের নিয়ে আরো বেশ কয়েকবার জায়গাটি গনি গং এর দখলে আনার চেষ্টা করে । শুধু তাই নয় গনি গংরা বিভিন্ন স্থান থেকে খারাপ প্রকৃতি ও পাতানো শালিশের অযুহাতে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে উলে¬খিত ভূমি জবর দখল করায় স্বরযন্ত্রে লিপ্ত হয়। উলে¬খ্য করা যায় যে, উক্ত সমস্যাটি সমাধানের জন্য ২০০৮ সালের ১১ ই নভেম্বর ইং তারিখে তৎকালীন পৌর মেয়র এড ঃ ফকরুল আলম আক্বাছ সাহেবের নির্দেশে ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও রোকেয়া বেগমের নেতৃত্বে পৌর আদালতে ইছমত কর্মকার শালিশের মাধ্যমের রায় পান। কিন্তু গনি গংরা এর পরও ক্ষেন্ত হয়নি। কারন উক্ত বিষয়টি নিয়ে তখনও জজ কোটে মামলা চলছিল। পৌর শালিশের ২ বছর পর জেলার জজ আদালত কর্তৃক নিরীহ ইছমত কর্মকারের এর পক্ষে রায় হয় এবং বিজ্ঞ জজ আদালত সম্মানের সহিত ইছমত কর্মকারকে জায়গা বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এই মর্মে ২০১০ সনের জুলাই এর ১৩ তারিখে ১২ :৩০ মিনিটের সময় আমিন কমিশনার জনাব শামসুদ্দিন আহম্মদ, ঢুলি শহর আলী ও জারী কারক মো: এমদাদুল হক সহ ভৈরব এসে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব বেগম নুরন্নাহার ও নির্ধারিত পুলিশ ফোর্স সহ বেলা অনুমান ১ টার সময় ঢুল বাজিয়ে আশে পাশে গন্যমান্য ব্যক্তিদেরকে সামনে রেখে উক্ত জায়গাটি ইছমত আলী কর্মকারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয় এবং গনি গংকে তার মালামাল নিজ দায়িত্বে সরিয়ে জায়গা খালি করার নির্দেশ দেন। এতপর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট , পুলিশ ফোর্স ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বিকাল ৪:৪৫ মিনিটের সময় ইছমত আলী কর্মকারকে ঢুল বাজিয়ে লোকজন জড়ো করে তার জায়গা বুঝিয়ে দেন। ভৈরবের বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেখা যায় যে, সমাজের গন্যমান্য দরবারিগন এখন টাকার নিকট জিম্মি । তারা টাকা পেলে সত্যকে মিথ্যা,মিথ্যাকে সত্য বলতে তাদের বিবেকে বাদে না। নিরীহ ব্যাক্তি ইছমত মিয়ার জায়গা কিশোরগঞ্জ জজ কোর্টের রায় পাওয়ার পর সে এই জায়গার হকদার। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় এই যে, কর্মকার ইছমত আলী দীর্ঘ ৪০ বছর পর তার পক্ষে উক্ত জমির রায় পান। অপর দিকে গনি গং প্রভাবশালী ও বিত্তশালী হওয়ায় বার বার ইছমত আলীকে হুমকি দমকি দিচ্ছে এবং গনি গং বাংলাদেশের আইনকে অমান্য করে সে গুন্ডা পান্ডা ও পেশি শক্তি দ্বারা ইছমত আলীকে বার বার আঘাত করছে এবং বিভিন্ন প্রভাবশালী লোক দিয়ে দমকি দেওয়াচ্ছে ।শুধু হুমকি দমকি দেওয়াতে গনি গং ক্ষেন্ত হয়নি। গত ০৮/০২১৪ইং তারিখে মাহমুদাবাদ থেকে ১০/১২ জন ডাকাত নিয়ে আসে উক্ত জায়গাটি দখল করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু ঘটনার এক পর্যায়ে উত্তেজনার এক মূর্হুতে ডাকাতদের মধ্যে একজন মারাতœক আঘাত প্রাপ্ত হন এবং এই আহত ব্যক্তিকে তৎক্ষনাত উন্নত চিকিৎসা করার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ৯ দিন পর আহত মৃত্যু বরন করে। এতে গনি গং মৃত ব্যক্তির পক্ষে ভৈরব থানায় ইছমত কর্মকারের ৩ সন্তানকে আসামী বানিয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে ইছমত মিয়ার ৩ সন্তান ভয়ে বাড়ি ত্যাগ করে। এই সুযোগে লোভী ও সুবিধা বাদী গনি গং সুযোগটি কাজে লাগিয়ে ফেলে। অর্থাৎ আমাদের দেশের আইনকে সে অমান্য করে ইছমত কর্মকারের জায়গাটি আবার সে দখলে নিয়ে যায়। কিন্তু এখানে প্রশ্ন থেকে যায় হত্যার সাথে জায়গা দখলের সর্ম্পক কি তা জানতে চায় এখানকার সাধারণ মানুষ। যদিও ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব জজ কোর্টের রায় পাওয়ার পরে ইছমত আলী কর্মকারকে ১৩/০৭/২০১০ সালে জায়গা বুঝিয়ে দেন। কিন্তু ৩ বছর অতিবাহিত হলে কিছু অসাধু দনবারি গনকে টাকা দিয়ে ব্যক্তির কান পড়ায় গনি গং আবারো জায়গাটি দখল করতে ব্যর্থ হয়। এই সময় প্রশাসনকে নিরব ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। আবার গত দেড় মাস আগে জায়গাটি জোড় পূর্বক দখল করতে গেলে আসামীর পক্ষে খলিল মিয়ার সালা মার্ডার হয়। মামলায় হেরে যাওয়ার আসামী পক্ষ বার বার আইনকে অমান্য করে পেশি শক্তি ব্যবহার করে নিরীহ ইছমত কর্মকারকে সর্বদিক থেকে হয়রানির স্বীকার বানিয়েছে। এই যদি হয় আমাদের সমাজ ব্যবস্থা তাহলে সাধারণ ও নিরীহ মানুষ কোথায় গিয়ে দাড়াবে ?আমার প্রশ্ন হল মার্ডার হয়েছে মামলা হয়েছে মামলা চলবে। কিন্তু এদেশের আইনকে অমান্য করে জায়গা দখল করে নেবে এমন কোন আইন আছে বলে আমার জানা নেই। উক্ত বিষয়টি নিয়ে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব মো: সরাফত উল¬াহকে প্রশ্ন করলে, তিনি উত্তর দেন জায়গা দখলের ব্যাপারে আমার নিকট কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ আসলে গনি গং এর বিরুদ্ধে অবশ্যই আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Home
»
»Unlabelled
» ভৈরবের জজ আদালত কর্তৃক স্বীকৃতি প্রাপ্ত ইছমত কর্মকারের বাড়ি আবারো গনি গং এর দখলে নিহত -১
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment