এম এ সালাম রানা: “রসে টসটস নাম তার আনারস”, এ প্রবাদ বাক্যটি মানুষের মুখে প্রায়ই শুনে থাকি। গ্রীষ্ম মৌসুমের সুস্বাদু একটি ফলের নাম আনারস। নামের সাথে ফলটির যথার্থ মিল রয়েছে। নরসিংদী জেলায় কমবেশী প্রায় সব প্রকারের ফল-ফলাদি উৎপন্ন হলেও দেশজুড়ে জেলার উৎপাদিত আনারসের সুখ্যাতি রয়েছে। এ জেলায় উৎপাদিত জলডুগী আনারস অন্যান্য জাতের আনারসের চেয়ে আকারে ছোট হলেও স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়। স্থানীয় এই আনারস ‘হানিকুইন’ নামেও পরিচিত। এ জাতের আনারস খেতে যেমনই সুস্বাদু তেমনই সুমিষ্ট।
পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের বরাব গ্রামের চাষী প্রমোদ দে জানান, সময়মতো চারা, সার, কীটনাশক ও প্রয়োজনীয় উপকরণের যোগান পাওয়ায় চলতি মৌসুমে আনারসের ফলন ভাল হয়েছে। রাবান এলাকার অপর এক চাষী সুশীল সরকার জানান, এই বছর তিনি ৩ বিঘা জমিতে আনারস চাষ করেছেন। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ১ লাখ টাকা বিক্রি করেছেন, আরো ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান। একই এলাকার অপর চাষী পুলিন রায় বলেন, এই বছর আনারসের দাম অন্যান্য বছরের তুলণায় অনেক ভাল। মোটামুটি সাইজের ১ হালি আনারস জমিতেই ৬০ থেকে ৭০ টাকা বিক্রি করতে পারছি। জিনারদী এলাকার চাষি আবুল কাশেম জানান, ‘হানিকুইন’ জাতের আনারস চাষে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছেন এই অঞ্চলের কৃষকেরা। তারা চারাগাছে ‘হারমনি স্প্রে’ ব্যবহার করায় গরমের শুরুতে সময়ের বেশ আগেই ফসল ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। এর জন্যই আমরা বাজারে আনারসের দাম ভাল পাচ্ছি। নরসিংদী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শ্রী সুভাষ চন্দ্র গাইন জানিয়েছেন, অনুকূল আবহাওয়া ও বৃষ্টিপাতের বিভাজনের ফলে চলতি মৌসুমে আনারসের ফলন ভালো হয়েছে। এভাবে বৃষ্টিপাতের বিভাজন হতে থাকলে ফলন আরো বৃদ্ধি পাবে এবং কৃষকরাও লাভবান হবেন বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরো জানান, বাজারে ‘হানিকুইন’ জাতের আনারসের ব্যাপক চাহিদা থাকার অন্যতম কারণ হচ্ছে এটি খেতে খুব সুস্বাদু এবং সুন্দর গন্ধযুক্ত। স্থানীয় বাজারে এই আনারস প্রতি পিস ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাট-বাজারগুলোতে স্থানীয় আনারসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। নরসিংদী সচেতন মহল জানান, বিগত সময় অপেক্ষা এবার আনারসের দাম তুলনামূলকভাবে একটু বেশী। যা দরিদ্র পরিবারের ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতা ও নাগালের বাইরে।
সাধারণত পাহাড়ী লাল এটেল মাটি আনারস চাষের উপযোগী। নরসিংদী জেলার পলাশ, শিবপুর ও বেলাব উপজেলায় কমবেশী চাষীরা আনারস উৎপাদন করলেও জেলার উৎপাদিত আনারসের ৯০ ভাগই উৎপন্ন হয় পলাশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। পলাশ উপজেলার পাহাড়ী লাল মাটি অধ্যূষিত এলাকাগুলোতে জলডুগী আনারস ব্যাপক ভাবে চাষাবাদ হয়। তন্মধ্যে জিনারদী ইউনিয়নের রাবান, বরার, সাতটেকিয়া ও কুরাইতলী এলাকার নাম উল্লেখযোগ্য। পলাশ উপজেলায় জলডুগী বা ‘হানিকুইন’ জাতের আনারস চাষে কয়েকশ’ কৃষক ইতিমধ্যে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন। শিবপুর ও বেলাব উপজেলায় অল্প সংখ্যক আনারস চাষী আনারস চাষ করলেও তা বানিজ্যিক ভিত্তিতে বাজারজাত করা হয় না। এ বছর নরসিংদী জেলায় ১ হাজার ১ শত ৮০ হেক্টর জমিতে আনারস চাষবাদ হয়েছে। চলতি মৌসুমে একর প্রতি প্রায় ১ হাজার আনারসের চারা রোপণ করে চাষিরা প্রতি বিঘায় ১২ শ’ থেকে ১৫ শ’ করে আনারসের ফলন পেয়েছেন।” সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, পলাশ উপজেলার জিনারদী, রাবান ও বরাবো এলাকায় স্থানীয় কৃষকেরা ছোট বড় অসংখ্য আনারসের বাগান গড়ে তোলে সেখান থেকে উন্নত জাতের আনারস বাজারে সরবরাহ ও বাজারজাত করছেন। বাড়ি-ঘরের আঙ্গিনাতেও বাগানের পরিবর্তে আনারসের চারা রোপণ করে অনেকে আর্থিক ভাবে লাভবান হয়েছেন।পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের বরাব গ্রামের চাষী প্রমোদ দে জানান, সময়মতো চারা, সার, কীটনাশক ও প্রয়োজনীয় উপকরণের যোগান পাওয়ায় চলতি মৌসুমে আনারসের ফলন ভাল হয়েছে। রাবান এলাকার অপর এক চাষী সুশীল সরকার জানান, এই বছর তিনি ৩ বিঘা জমিতে আনারস চাষ করেছেন। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ১ লাখ টাকা বিক্রি করেছেন, আরো ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান। একই এলাকার অপর চাষী পুলিন রায় বলেন, এই বছর আনারসের দাম অন্যান্য বছরের তুলণায় অনেক ভাল। মোটামুটি সাইজের ১ হালি আনারস জমিতেই ৬০ থেকে ৭০ টাকা বিক্রি করতে পারছি। জিনারদী এলাকার চাষি আবুল কাশেম জানান, ‘হানিকুইন’ জাতের আনারস চাষে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছেন এই অঞ্চলের কৃষকেরা। তারা চারাগাছে ‘হারমনি স্প্রে’ ব্যবহার করায় গরমের শুরুতে সময়ের বেশ আগেই ফসল ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। এর জন্যই আমরা বাজারে আনারসের দাম ভাল পাচ্ছি। নরসিংদী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শ্রী সুভাষ চন্দ্র গাইন জানিয়েছেন, অনুকূল আবহাওয়া ও বৃষ্টিপাতের বিভাজনের ফলে চলতি মৌসুমে আনারসের ফলন ভালো হয়েছে। এভাবে বৃষ্টিপাতের বিভাজন হতে থাকলে ফলন আরো বৃদ্ধি পাবে এবং কৃষকরাও লাভবান হবেন বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরো জানান, বাজারে ‘হানিকুইন’ জাতের আনারসের ব্যাপক চাহিদা থাকার অন্যতম কারণ হচ্ছে এটি খেতে খুব সুস্বাদু এবং সুন্দর গন্ধযুক্ত। স্থানীয় বাজারে এই আনারস প্রতি পিস ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাট-বাজারগুলোতে স্থানীয় আনারসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। নরসিংদী সচেতন মহল জানান, বিগত সময় অপেক্ষা এবার আনারসের দাম তুলনামূলকভাবে একটু বেশী। যা দরিদ্র পরিবারের ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতা ও নাগালের বাইরে।
0 comments:
Post a Comment