ঢাকা সিলেট মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে ১০টি স্থানে সড়ক প্রশস্ত ও বিভাজন স্থাপন করেছে নরসিংদী সড়ক বিভাগ
তৌহিদুর রহমান: ঢাকা সিলেট মহাসড়কে দুর্ঘটনা হ্রাস করতে ১০টি স্থানে সড়ক প্রশস্ত ও বিভাজন স্থাপন করেছে নরসিংদী সড়ক বিভাগ। জাতীয় মহাসড়কের দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকাসমূহের সড়ক নিরাপত্তা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১৪কোটি টাকা ব্যয়ে এই কাজ করা হয়েছে। বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট ও সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের যৌথ নির্দেশনা মোতাবেক এই কাজ করেছে সড়ক বিভাগ। সড়ক প্রশস্তকরণ, সড়ক বিভাজন স্থাপন, নির্দেশনামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন, সংযোগ সড়কের প্রবেশ মুখ প্রশস্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন নরসিংদী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান।
নরসিংদীর ঢাকা সিলেট মহাসড়কের ৫২ কিলোমিটার অংশের বেশ কয়েকটি জায়গায় বিপজ্জনক বাক রয়েছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার ফলে প্রাণহানী হতো। মহসড়কের বাগবাড়ি, ভগিরথপুর, পাঁচদোনা, কারারচর, শাষপুর, সৃষ্টিগড়, চৈতন্যা, বারৈচা এলাকার বাকগুলি ছিল বেশ বিপজ্জনক। সেই সব স্থান সমূহে সড়ক প্রশস্ত করে বিভাজন স্থাপন করায় দুর্ঘটনা কমে যাবে। এই সড়কে নিয়মিত যারা যানবাহন চালান তারা জানিয়ছেন, যেসব স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ি সহজে দৃষ্টিগোচর হতো না সে সব স্থানে ডিভাইডার স্থাপন ও সড়ক প্রশস্ত করায় এখন দুর্ঘটনা হবার সম্ভাবনা কম। ট্রাক চালক, হাবিবুর রহমান জানান, ঝড়, বৃষ্টি, অধিক কুয়াশা হলে রাস্তায় দেখতে সমস্যা হয়। তার উপর যদি রাস্তা বাকা থাকে তাহলে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এখন বেশ কয়েকটি জায়গায় এ সমস্যার সমাধান করায় আমরা অনেকটা স্বস্তিতে আছি।
নরসিংদী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান জানান, সড়ক মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধ করতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। রাস্তা বাকা ও সংকীর্ণ থাকার ফলে অনেক স্থানেই দুর্ঘটনার ঘটনা বেশি ঘটতো। এর প্রেক্ষিতে বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট ও সড়ক নিরাপত্তা বিভাগ সারা দেশের ১৪৭টি স্থানকে কালো তালিকাভুক্ত করে। গবেষণা দল ওই সব স্থান সমূহে উল্লেখযোগ্য কিছু পরিবর্তনের পরামর্শ দেয়। সে পরামর্শ অনুযায়ী নরসিংদীর ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানকে নিরাপদ করা হয়েছে।
0 comments:
Post a Comment