আল-আমিন মিয়া, পলাশ প্রতিনিধি, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ : ভয়াবহ অগ্নিকা-ে দেশের বিখ্যাত রিফাইন্ড সুগার উৎপাদন প্রতিষ্ঠান নরসিংদীর পলাশের দেশবন্ধু সুগার মিলটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
আর এ কারণে বেকার হয়ে গেছে ৭ শত শ্রমিক। গত মঙ্গলবার সংঘটিত ভয়াবহ অগ্নিকা-ে ৩শ মেট্রিক টন রিফাইন্ড চিনিসহ, ফিনিস সুগার, গার্ডার মেশিন, কনভেয়ার, মর্টার, সুগার এলিবেটর, স্ক্রু কনবেয়ার ও সুগারবিন পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে মিলের উৎপাদন। যার ফলে বেকার হয়ে গেছে ৭ শত শ্রমিক কর্মচারী। মালিক পক্ষের হিসেব অনুযায়ী প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি টাকার উপরে। নতুন করে মেশিনাদি ক্রয় ও বড় ধরণের মেরামত কাজ ছাড়া কারখানাটি চালু করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন মালিক পক্ষ। কারখানার এজিএম ওয়াহেদুজ্জামান আহম্মেদ জানিয়েছেন অগ্নিকা-ের প্রকৃত কারণ, সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি এবং কারখানার মেশিনপত্র মেরামতসহ কারখানাটি চালু করার প্রস্তাবনা তৈরীর জন্য জিএম (টেকনিক্যাল) প্রকৌশলী রেজাউল করিমকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন প্রকৌশলী মাহতাব উদ্দীন ও উপ-মহা ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন। তিনি আরো বলেন, যেহেতু এখানে বেশির ভাগ যন্ত্রপাতিই বিদেশ থেকে আমদানীকৃত তাই বিদেশি যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হলে অনেক সময় লাগতে পারে। তবে কবে নাগাদ কারখানাটি উৎপাদনে যাবে তা বলা যাচ্ছে না। জানা যায়, সম্পূর্ণ চলমান অবস্থায় গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় কারখানার গ্রেডিং হাউজ থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে আগুন সারা কারখানার অভ্যন্তরে ছড়িয়ে পরে। সাথে সাথেই কারখানার শ্রমিকরা নিজ নিজ চেষ্টায় ফায়ার এস্টিংগুইসার ও স্থানীয় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হয়। পরে খবর পেয়ে পলাশ ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক দল ঘটনাস্থল গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। এর আধা ঘন্টা পর নরসিংদী থেকে ফায়ার সার্ভিসের অপর একটি দল আগুন নিভানোর জন্য আসে। পরে দীর্ঘ দুই ঘন্টা যাবত চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও ততক্ষণে কারখানার বড়-বড় মেশিনপত্র রিফাইন্ড সুগারসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, কেমিক্যাল ও চিনি তৈরী ও প্যাকেটজাত করণের বিভিন্ন উপকরণ পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের পলাশের সহকারী পরিদর্শক ইব্রাহিম জানান, আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে ছুটে যাই এবং দুই ঘন্টা চেষ্টার ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। পরে নরসিংদীর ইউনিটও আমাদের সাথে যোগ দেয়।
এদিকে অগ্নিকা-ের সংবাদ পেয়ে কারখানার চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম রহমান রাতেই ক্ষতিগ্রস্থ কারখানা পরিদর্শন করেছেন। এই ক্ষয়-ক্ষতির কারণে ও উৎপাদন বন্ধ থাকায় দেশে সুগার সংকটের প্রভাব ফেলতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন, কয়েকজন সুগার ব্যবসায়িরা। এই প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত চালু করার জন্য মালিক পক্ষ ও সরকার পক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন, এই কর্মরত শ্রমিক ও সুগার ব্যবসায়িরা। এ ব্যাপারে সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক এডমিন অহেদুজ্জামান লেলিন জানান, এই কারখানায় দৈনিক ৫ মেট্রিক টন উৎপাদন হতো, আমরা বাইপাসে উৎপাদন শুরু কারার চেষ্টা করতেছি। চট্রগ্রাম পোর্টে আমাদের কিছু মেশিনারি যন্ত্রপাতি মজুদ আছে। ইতিমধ্যে ইন্ডিয়ান ও জার্মানী বিশেষ দক্ষ প্রকৌশলী আমাদের কারখানায় পৌঁছেছেন। কারখানার মালিক পক্ষ শ্রমিক, ঠিকাদার, সাব ঠিকাদার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কথা চিন্তা করে অস্থাইভাবে কারখানাটি চালু করার উদ্যোগ নিয়েছেন। যেন চিনি শিল্পে ধ্বস না নামে। যদি কারখানাটি চালু করা সম্ভব হয়, তাহলে ২’শ ৫০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করা সম্ভব হবে। আর যদি কারখানাটি চালু করা সম্ভব না হয়, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
আর এ কারণে বেকার হয়ে গেছে ৭ শত শ্রমিক। গত মঙ্গলবার সংঘটিত ভয়াবহ অগ্নিকা-ে ৩শ মেট্রিক টন রিফাইন্ড চিনিসহ, ফিনিস সুগার, গার্ডার মেশিন, কনভেয়ার, মর্টার, সুগার এলিবেটর, স্ক্রু কনবেয়ার ও সুগারবিন পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে মিলের উৎপাদন। যার ফলে বেকার হয়ে গেছে ৭ শত শ্রমিক কর্মচারী। মালিক পক্ষের হিসেব অনুযায়ী প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি টাকার উপরে। নতুন করে মেশিনাদি ক্রয় ও বড় ধরণের মেরামত কাজ ছাড়া কারখানাটি চালু করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন মালিক পক্ষ। কারখানার এজিএম ওয়াহেদুজ্জামান আহম্মেদ জানিয়েছেন অগ্নিকা-ের প্রকৃত কারণ, সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি এবং কারখানার মেশিনপত্র মেরামতসহ কারখানাটি চালু করার প্রস্তাবনা তৈরীর জন্য জিএম (টেকনিক্যাল) প্রকৌশলী রেজাউল করিমকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন প্রকৌশলী মাহতাব উদ্দীন ও উপ-মহা ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন। তিনি আরো বলেন, যেহেতু এখানে বেশির ভাগ যন্ত্রপাতিই বিদেশ থেকে আমদানীকৃত তাই বিদেশি যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হলে অনেক সময় লাগতে পারে। তবে কবে নাগাদ কারখানাটি উৎপাদনে যাবে তা বলা যাচ্ছে না। জানা যায়, সম্পূর্ণ চলমান অবস্থায় গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় কারখানার গ্রেডিং হাউজ থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে আগুন সারা কারখানার অভ্যন্তরে ছড়িয়ে পরে। সাথে সাথেই কারখানার শ্রমিকরা নিজ নিজ চেষ্টায় ফায়ার এস্টিংগুইসার ও স্থানীয় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হয়। পরে খবর পেয়ে পলাশ ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক দল ঘটনাস্থল গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। এর আধা ঘন্টা পর নরসিংদী থেকে ফায়ার সার্ভিসের অপর একটি দল আগুন নিভানোর জন্য আসে। পরে দীর্ঘ দুই ঘন্টা যাবত চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও ততক্ষণে কারখানার বড়-বড় মেশিনপত্র রিফাইন্ড সুগারসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, কেমিক্যাল ও চিনি তৈরী ও প্যাকেটজাত করণের বিভিন্ন উপকরণ পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের পলাশের সহকারী পরিদর্শক ইব্রাহিম জানান, আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে ছুটে যাই এবং দুই ঘন্টা চেষ্টার ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। পরে নরসিংদীর ইউনিটও আমাদের সাথে যোগ দেয়।
এদিকে অগ্নিকা-ের সংবাদ পেয়ে কারখানার চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম রহমান রাতেই ক্ষতিগ্রস্থ কারখানা পরিদর্শন করেছেন। এই ক্ষয়-ক্ষতির কারণে ও উৎপাদন বন্ধ থাকায় দেশে সুগার সংকটের প্রভাব ফেলতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন, কয়েকজন সুগার ব্যবসায়িরা। এই প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত চালু করার জন্য মালিক পক্ষ ও সরকার পক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন, এই কর্মরত শ্রমিক ও সুগার ব্যবসায়িরা। এ ব্যাপারে সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক এডমিন অহেদুজ্জামান লেলিন জানান, এই কারখানায় দৈনিক ৫ মেট্রিক টন উৎপাদন হতো, আমরা বাইপাসে উৎপাদন শুরু কারার চেষ্টা করতেছি। চট্রগ্রাম পোর্টে আমাদের কিছু মেশিনারি যন্ত্রপাতি মজুদ আছে। ইতিমধ্যে ইন্ডিয়ান ও জার্মানী বিশেষ দক্ষ প্রকৌশলী আমাদের কারখানায় পৌঁছেছেন। কারখানার মালিক পক্ষ শ্রমিক, ঠিকাদার, সাব ঠিকাদার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কথা চিন্তা করে অস্থাইভাবে কারখানাটি চালু করার উদ্যোগ নিয়েছেন। যেন চিনি শিল্পে ধ্বস না নামে। যদি কারখানাটি চালু করা সম্ভব হয়, তাহলে ২’শ ৫০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করা সম্ভব হবে। আর যদি কারখানাটি চালু করা সম্ভব না হয়, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
0 comments:
Post a Comment