শান্ত বনিক, নরসিংদী থেকে : পদ্মার পাড়ের শোকাবহ অবস্থার পরিসমাপ্তি না ঘটতেই আজ বুধবার বিকেলে
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুর উপজেলাধীন বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় এক ভয়াবহ সড়ক
দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। দ্রুতবেগে ধাবমান দুটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমূখী
সংর্ঘষ এবং সংঘর্ষজনিত অগ্নিকান্ডে ৮ জন
যাত্রী নিহত এবং অন্তত ৬০-৭০ জন যাত্রী আহত হয়েছে। নিহতের মধ্যে ২ জন
জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ এবং ৪ জন রক্তাক্ত যখম হয়ে মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে নেয়ার পর সেখানে মারা গেছে আরো ২ জন। নিহতদের মধ্যে একজনের নাম
সোহানা (১৮) এবং আরেক জনের নাম মজনু মিয়া বলে জানা গেছে। অন্যদের নাম জানা
যায়নি। আহতদের মধ্যে ৪৫ জনকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
সেখান থেকে আশংকাজনক অবস্থায় ৩০ জনকে ঢাকা মেডিকেল ও পঙ্গু হাসপাতালে
রেফার্ড করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল। এদের মধ্যে ২
জন মারা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, সোহাগ পরিবহনের ঢাকা মেট্রো ব-১১-১১৫০ নাম্বারের একটি যাত্রীবাহী বাস সিলেট থেকে যাত্রী বোঝাই করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। বিকেল সোয়া ৪ টায় বাসটি দ্রুতবেগে শিবপুর উপজেলাধীন বিসিক শিল্পনগরী এলাকা অতিক্রম করার সময় ঢাকা থেকে ভৈরবগামী মেঘালয় ট্রান্সপোর্টের মৌলভীবাজার জ-১১-০০৬৪ নাম্বারের একটি যাত্রীবাহী বাস মুখোমূখী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে দুটি বাসেরই সম্মুখ ভাগ ভেঙ্গে ধুমড়ে মুচড়ে যায়। এসময় সংঘর্ষের চাপে সোহাগ পরিবহনের বাসটির গ্যাস সিলিন্ডার বিকট আওয়াজে বিস্ফোরিত হয়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। এসময় ঘটনাস্থলে ৪ জন এবং ২ জন হাসপাতালে মারা যায়। দুর্ঘটনার অব্যবহিত পর গ্যাস সিলিন্ডারের বিকট আওয়াজের পর সৃষ্ট অগ্নিকান্ডে আশেপাশের লোকজন প্রথমে আতংক গ্রস্থ হয়ে পড়ে। পরে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ও আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে প্রেরন করতে থাকে। এসময় খবর পেয়ে নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে দীর্ঘক্ষন প্রচেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনলেও সোহাগ পরিবহনের বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। পক্ষান্তরে মেঘালয় ট্রান্সপোর্টের বাসটি আংশিক পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এসময় সোহাগ পরিবহন বাসের ভিতর আটকা পড়ে ২জন যাত্রী জীবন্ত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায় এবং কমবেশী ২০ জন যাত্রী আগুনে পুড়ে আহত হয়। নিহত ও আহতদেরকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা ঘটে। শত শত মানুষ নিহত ও আহত যাত্রীদের দেখার জন্য এবং অনেকে আত্মীয়-স্বজনের খুঁজে হাসপাতালে ভীড় জমায়। এসময় নরসিংদী সিভিল সার্জন ডা. পুতুল রায় এবং জেলা হাসপাতালের আরএমও ডা. মিজানুর রহমানসহ হাসপাতালের চিকিৎসকরা জরুরী বিভাগে গিয়ে তাৎক্ষণিক চিকিৎসাকার্য তদারকি এবং পরিচালনা করেন।
খবর পেয়ে নরসিংদীর জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ জামান, পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল এবং জেলা হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আমাদের মেডিকেল রিপোর্টার জানিয়েছেন, নরসিংদীর সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ২০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন ছিল। হাসপাতালে নেয়ার পর সেখানে ২ জন চিকিৎসারত অবস্থায় মারা গেছে। আরো দুজনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, সোহাগ পরিবহনের ঢাকা মেট্রো ব-১১-১১৫০ নাম্বারের একটি যাত্রীবাহী বাস সিলেট থেকে যাত্রী বোঝাই করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। বিকেল সোয়া ৪ টায় বাসটি দ্রুতবেগে শিবপুর উপজেলাধীন বিসিক শিল্পনগরী এলাকা অতিক্রম করার সময় ঢাকা থেকে ভৈরবগামী মেঘালয় ট্রান্সপোর্টের মৌলভীবাজার জ-১১-০০৬৪ নাম্বারের একটি যাত্রীবাহী বাস মুখোমূখী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে দুটি বাসেরই সম্মুখ ভাগ ভেঙ্গে ধুমড়ে মুচড়ে যায়। এসময় সংঘর্ষের চাপে সোহাগ পরিবহনের বাসটির গ্যাস সিলিন্ডার বিকট আওয়াজে বিস্ফোরিত হয়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। এসময় ঘটনাস্থলে ৪ জন এবং ২ জন হাসপাতালে মারা যায়। দুর্ঘটনার অব্যবহিত পর গ্যাস সিলিন্ডারের বিকট আওয়াজের পর সৃষ্ট অগ্নিকান্ডে আশেপাশের লোকজন প্রথমে আতংক গ্রস্থ হয়ে পড়ে। পরে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ও আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে প্রেরন করতে থাকে। এসময় খবর পেয়ে নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে দীর্ঘক্ষন প্রচেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনলেও সোহাগ পরিবহনের বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। পক্ষান্তরে মেঘালয় ট্রান্সপোর্টের বাসটি আংশিক পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এসময় সোহাগ পরিবহন বাসের ভিতর আটকা পড়ে ২জন যাত্রী জীবন্ত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায় এবং কমবেশী ২০ জন যাত্রী আগুনে পুড়ে আহত হয়। নিহত ও আহতদেরকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা ঘটে। শত শত মানুষ নিহত ও আহত যাত্রীদের দেখার জন্য এবং অনেকে আত্মীয়-স্বজনের খুঁজে হাসপাতালে ভীড় জমায়। এসময় নরসিংদী সিভিল সার্জন ডা. পুতুল রায় এবং জেলা হাসপাতালের আরএমও ডা. মিজানুর রহমানসহ হাসপাতালের চিকিৎসকরা জরুরী বিভাগে গিয়ে তাৎক্ষণিক চিকিৎসাকার্য তদারকি এবং পরিচালনা করেন।
খবর পেয়ে নরসিংদীর জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ জামান, পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল এবং জেলা হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আমাদের মেডিকেল রিপোর্টার জানিয়েছেন, নরসিংদীর সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ২০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন ছিল। হাসপাতালে নেয়ার পর সেখানে ২ জন চিকিৎসারত অবস্থায় মারা গেছে। আরো দুজনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন।
0 comments:
Post a Comment