08:25
0
শান্ত বনিক, নরসিংদী থেকে : বিনা মামলা বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করে আলমগীর হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে, মারধোর এবং বকশিস আদায়ের অভিযোগে মনোহরদীর রামপুর পুলিশ ফাড়ির এএসআই আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আলমগীর হোসেনের মামা রুকন উদ্দিন বাদী হয়ে নরসিংদীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এই মামলা দায়ের করেছে। বিজ্ঞ আদালত বাদী পক্ষের শুনানী শেষে বিষয়টি তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট পেশ করার জন্য পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন। বাদী তার মামলার অভিযোগ পত্রে বলেছে, আলমগীর হোসেন রামপুর আবাসন প্রকল্পের সেক্রেটারী। একই প্রকল্পের নিরাশা নামে এক বিতর্কিতা মহিলার সাথে এএসআই আনোয়ার  হোসেনের গভীর সম্পর্ক থাকায় সে ঘন ঘন নিরাশার বাসায় যাওয়া আসা করে। এই ঘটনা নিয়ে আবাসন প্রকল্পসহ রামপুর এলাকায় জনগণের মধ্যে ব্যপক কানাঘুষা সৃস্টি হলে সেক্রেটারী আলমগীর বিষয়টি এএসআই আনোয়ার হোসেনকে জানায়। এতে এএসআই আনোয়ার হোসেন আলমগীরের প্রতি মারাত্বকভাবে ক্ষিপ্ত হয় এবং তাকে অশালীন ভাষায় গালাগাল করে দেখে নেয়ার হুমকী দিয়ে চলে যায়। গত ২২ আগষ্ট রাত সাড়ে ১১টায় আলমগীর তার হোটেলের বেচাকেনার হিসাব শেষ করে ১৫ হাজার টাকা ক্যাশ বাক্সে রেখে হোটেল বন্ধ করার প্রস্ততি নেয়ার সময় এএসআই আনোয়ার হোসেন হোটেলে ঢুকে আলমগীরের চোখে মুখে কিল ঘুষি ও লাথি মেরে আতঙ্কের সৃস্টি করে ক্যাশে রাখা নগদ ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং দোকানের মালামাল তছনছ করে মাটিতে ফেলে ২৫ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। পরে এএসআই আনোয়ার হোসেন আলমগীরকে হোটেল থেকে টেনে হেঁচড়ে বের করে রামপুর পুলিশ ফাড়িতে নিয়ে হাজতখানায় বন্দী করে। এরপর এএসআই আনোয়ার হোসেন হাজতখানায় ঢুকে আলমগীরের হ্যান্ডকাফ পরিয়ে লাঠি দিয়ে আলমগীরের কোমড়, দুই উরু, পায়ের তলা, দুই হাত এবং সাড়া শরীরে এলোপাতারি পিটিয়ে আহত করে। এসময় এএসআই আনোয়ার হোসেন বলতে থাকে পুলিশের নামে বিচার দিস শালা কুত্তার বাচ্চা, পুলিশ সরকারী মাস্তান। আজ তোকে মেরে ফেলব। এ অবস্থায় আলমগীরের আত্মীয়-স্বজনরা  তাকে দেখতে গিয়ে তার উপর অমানবিক নির্যাতন দেখে ভীতবিহ্বল হয়ে যায়। তারা জিজ্ঞাসা করে আলমগীরের বিরুদ্ধে কোন মামলা আছে কি-না। প্রত্যুত্তরে আনোয়ার হোসেন সদম্ভে জানায় কোন মামলা নেই তবে ১০হাজার টাকা বকশিস দিলে আলমগীরকে ছেড়ে দেব। এ অবস্থায় খিদিরপুর ইউপি মেম্বার দুলাল এবং আলমগীরের আত্মীয় হান্নানের মাধ্যমে নগদ ৮ হাজার টাকা এএসআই আনোয়ার হোসেনকে দেয়ার পর ২৩ আগষ্ট আলমগীরকে ছেড়ে দেয়। পরে আলমগীরকে মারাত্বক আহতাবস্থায় কটিয়াদি স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করা হয়।

0 comments:

Post a Comment