06:07
0
মোঃ মোস্তফা খান : তৎকালিন পূর্বপাকিস্তানের শাসনামলে স্থাপিত মালিকানাধীন একমাত্র শিল্প প্রতিষ্ঠান নরসিংদীর রায়পুরার কোহিনূর জুট মিলটি দীর্ঘ প্রায় ১০ মাস যাবৎ বন্ধ থাকায় মিলে কর্মরত প্রায় ২ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী বেকার হয়ে পড়েছেন। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতন জীবন-যাপন করছেন এসব শ্রমিক-কর্মচারীরা। তাছাড়া মালিক পক্ষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে দীর্ঘদিনে বকেয়ার টাকাও পাচ্ছেন না। এই অবস্থায় প্রায় ২ হাজার শ্রমিক/কর্মচারী তাদের পরিবার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

এদিকে ঈদের পূর্বে তাদের বকেয়া বেতন ভাতাদি পরিশোধ না করলে সড়ক পথ, রেল পথ অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচী দিতে প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানান শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।

পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে মিলটি বন্ধ থাকায় মিলের সরঞ্জামাদী, স্থাপনাসহ প্রায় সাড়ে তিনশত কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জানা যায়, ১৯৬৪ সালে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার গৌরীপুর গ্রামে মেঘনার তীরবর্তী এলাকায় প্রয়াত মৌলভী তোফাজ্জল হোসেনের উদ্যোগে ১৭২ বিঘা জমির উপর স্থাপিত হয় এ মিলটি। ১৭শ শ্রমিকসহ প্রায় ২ হাজার কর্মচারী নিয়ে মিলটির যাত্রা শুরু করে। মৌলভী তোফাজ্জল হোসেন তার জীবদ্দশায় ১৯৯২ সাল পর্যন্ত দক্ষতার সাথে মিলটি পরিচালনা করেন। পরবর্তিতে তার অবর্তমানে সঠিক নেতৃত্বের অভাবে এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাট, শ্রমিক অসন্তোস, আর্থিক অস্বচ্ছলতাসহ বিভিন্ন কারনে মিলটি পরিচালনা ব্যাহত হয়। এক পর্যায়ে ১৯৯৫ সালে মিলটি লকআউট ঘোষনা করা হয়। এভাবে একাধিকবার মিলটি পরিচালনায় বিঘিœত হওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হন মালিকপক্ষ। অবশেষে ২০০৯ সালের ৩ মার্চ মিলটির হাল ধরেন মৌলভী তোফাজ্জল হোসেনের কনিষ্ঠ ছেলে আলহাজ্ব তারেক আহমেদ।

কোহিনূর জুট মিলস ওয়ার্কাস ইউনিয়নের সভাপতি শেখ রাশেদ মিয়া বলেন, মিলের বর্তমান অবস্থা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানিয়েছি। শ্রমিক-কর্মচারীদের স্বার্থে ঈদের পূর্বেই বেতন ভাতাদী পরিশোধ করার দাবী জানাচ্ছি। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।

এ ব্যাপারে কোহিনুর জুট মিলস লিঃ এর ব্যবস্থপনা পরিচালক হাজী তারেক আহমেদ এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা চেষ্টা করলেও তিনি বার বার সংযোগ কেটে দেওয়ায় তার সাথে কথা বলা সম্ভর হয়নি।

0 comments:

Post a Comment