01:34
0
এম. আর. ওয়াসিম: ভৈরব শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত পঞ্চবটি এলাকার মাদক সম্রাট জাকির হোসেনের মাদকের কবল হতে ভৈরব শহরসহ পাশের জেলা নরসিংদী ও বি-বাড়ীয়া এলাকার যুবসমাজকে রক্ষা পেতে চায় সচেতন নাগরিকগণ।
ভৈরব শহরের সচেতন নাগরিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন তাদের সন্তানদের নিয়ে। ভৈরব শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত ভৈরব রেল ষ্টেশনের পার্শ্বে পঞ্চবটি এলাকার মাদকের গড ফাদার জাকির হোসেনের মাদকের থাবা থেকে যুবসমাজ সহ ছোট বড় সকল প্রকার মানুষকে রক্ষা এবং তার ছেলে চোরের সর্দার সাদ্দাম হোসেনের দলবলের চুরির হাত থেকে এলাকাবাসির মালামাল রক্ষা করার জন্য পুলিশ সুপার, কিশোরগঞ্জ মহোদয়ের নিকট এলাকাবাসী আবেদন জানিয়েছে। জানা গেছে পঞ্চবটি এলাকার জাকির হোসেন, পিতা-মৃত জজ মিয়া (সাং-নীলকুটি, থানা-রায়পুরা, জেলা-নরসিংদী সে দীর্ঘদিন যাবৎ পঞ্চবটি এলাকায় ফেন্সিডিল, ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজা সহ অন্যান্য মাদকদ্রব্যের রমরমা ব্যবসা করে সে আজ কোটি কোটি টাকার মালিক। পঞ্চবটিতে তার দুটি আলিশান বাড়ি আছে। যে বাড়ী বাংলাদেশে মন্ত্রি এমপিদের আছে কিনা সন্দেহ। তার সুবাদে পঞ্চবটি পুরো এলাকায় প্রায় ৫ শত লোক ফেন্সিডিল, ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজা সহ অন্যান্য মাদকদ্রব্যের পাইকারী ব্যবসা করছে। এছাড়াও মাদকের গড ফাদার জাকির হোসেন উক্ত ব্যবসায়িদের নিকট হতে সাংবাদিক, পুলিশ ও এলাকার আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের নাম করে প্রতি মাসে ১০ লাখ টাকা মাসোহারা উত্তোলন করে আসছে। উক্ত টাকা সাংবাদিক, পুলিশ ও আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দদের দেয় কিনা আমাদের জানা নেই। তবে তার সহযোগী (১) হাসান আলী, পিতা-মৃত গফুর মিয়া, (২) সানু মিয়া, পিতা-মৃত সিদ্দিক মিয়া, (৩) আনার মিয়া, পিতা-মৃত নূরু মিয়া, (৪) নূর উল্লাহ, পিতা-মহব্বত আলী, সর্বসাং-পঞ্চবটি তাদের নিয়ে তার আলিশান বাড়ীর একটি রুমের ভিতরে দিন রাত ২৪ ঘন্টা সে ইয়াবা ট্যাবলেট, ফেন্সিডিল সহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সেবন করে এবং তার উল্লেখিত সহযোগীরা সারারাত ধরে পঞ্চবটি রেলষ্টেশন সহ পুলিশের উপস্থিতি চেক দিতে থাকে। এই সময়ে চট্রগ্রাম থেকে আসা ঢাকাগামী পারাবত ও তূর্ণা নিশিতা নামক দু’টি ট্রেন থেকে ফেন্সিডিল, ইয়াবা ট্যাবলেট ও গাঁজা সহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য ভৈরব জিআরপি থানার সামনে দিয়ে পঞ্চবটির দিকে ঢুকতে থাকে। এই সব মাদকদ্রব্য জিআরপি পুলিশের সাথে সমঝোতা করে মাদকের গড ফাদার জাকির হোসেন পঞ্চবটির বিভিন্ন পয়েন্টের ব্যবসায়িদের নিকট পৌঁছে দেয়। পঞ্চবটির বড় বড় ব্যবসায়ীদের মধ্যে অন্যতম হলো (১) আলম মিয়া ওরফে মাইগ্যা আলম, পিতা-মৃত ওমর আলী, (২) রাজন, পিতা-জয়নাল আবেদীন, (৩) তোফাজ্জল হোসেন, পিতা-মৃত আতর আলী, (৪) রহিমা বেগম, স্বামী-জাকির হোসেন (মাদকের গড ফাদার), পিতা-মৃত কফিল উদ্দিন, (৫) হেলিম মিয়া, পিতা-মৃত সাঈদ মিয়া, (৬) শিল্পি বেগম, পিতা-মৃত আতর আলী, (৭) মোবারক হোসেন, পিতা-মৃত আতর আলী, (৮) পারভিন বেগম, স্বামী-তোফাজ্জল মিয়া, (৯) পারুল বেগম, স্বামী-মোবারক হোসেন, (১০) সুমি বেগম, স্বামী-জাহাঙ্গীর (আখাউড়া নূরপুর মাদকের ডিলার), পিতা-মৃত সিদ্দিক মিয়া, (১১) মূসা মিয়া, পিতা-মস্তু মিয়া, (১২) কাউছার, পিতা-মৃত মজনু মিয়া, (১৩) ফরিদা বেগম ওরফে ফরিদি, স্বামী-কফিল উদ্দিন, (১৪) দুলাল, পিতা-রুকু মিয়া, (১৫) নূর আলম, পিতা-আহাম্মদ আলী, (১৬) লায়লি বেগম, স্বামী-সুজন মিয়া, (১৭) ধন মিয়া, পিতা-আঃ রহমান, (১৮) বিলিবিলি, স্বামী-ধন মিয়া, (১৯) শান্তি বেগম, স্বামী-মৃত হেলাল মিয়া, (২০) মমতা বেগম, স্বামী-দুলাল মিয়া ওরফে দুলু মিয়া, (২১) সপ্না বেগম, স্বামী-জুম্মন মিয়া, (২২) সুজি বেগম, স্বামী-অজ্ঞাত, (২৩) লতিফা বেগম, স্বামী-সানু মিয়া, (২৪) জুয়েল মিয়া, পিতা-গিয়াস উদ্দিন, (২৫) জাহানারা বেগম, স্বামী-মৃত সিরাজ মিয়া, (২৬) রোকেয়া বেগম, স্বামী-মৃত সিরাজ মিয়া, (২৭) মর্জিনা বেগম, স্বামী-আবুল কাশেম, (২৮) দেলোয়ারা ওরফে দিলু, স্বামী-মৃত অলি মিয়া, (২৯) ফাতেমা, স্বামী-মতি মিয়া, (৩০) মাফি বেগম, স্বামী-মৃত সুরুজ মিয়া, (৩১) মানিক, পিতা-জয়নাল আবেদীন, (৩২) জীবন, পিতা-জজ মিয়া, (৩৩) মাইগ্যা মাছুম, (৩৪) মাইগ্যা ফারুক, সর্ব সাং-পঞ্চবটি, থানা-ভৈরব, জেলা-কিশোরগঞ্জ সহ আরোও অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী পঞ্চবটি এলাকায় মাদকের গড ফাদার জাকির হোসেনের ছত্র ছায়ায় নিভৃতে মাদক বিক্রি করে আসছে। তাদের প্রত্যেকের নামেই ভৈরব, আশুগঞ্জ, বি-বাড়ীয়া, নাছির নগর, আখাউড়া, সরাইল থানা, নরসিংদীর শিবপুর, রায়পুরা, বেলাব থানায় ০৮/১০ টি করে মাদকের মামলা রয়েছে। থানার রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করলে তার সত্যতা পাওয়া যাবে। এমনকি ভৈরব শহরের নেতৃস্থানীয় লোকদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে উক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে জানা যাবে। মাদকের গড ফাদার জাকির হোসেনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২০) এর নেতৃত্বে ১৮/২০ জন চোর ভৈরব শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে জনগণের মালামাল চুরি করে নিয়ে আসে এবং সাদ্দাম হোসেনের কাছে জমা দেয়। উক্ত মালামাল সাদ্দাম হোসেন বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে চোরদের ইয়াবা ট্যাবলেট, ফেন্সিডিল, গাঁজা ও অন্যান্য মাদক দ্রব্য সেবনের ব্যবস্থা করে দেয়। যে কারনে এ শহরে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই অহরহ ঘটছে। এদের দেখাদেখি শহরের যুবসমাজ ও ছোট বড় সকল প্রকার মানুষই এ ধরনের নেশায় আসক্ত হচ্ছে। পঞ্চবটি এলাকায় মাদকের সর্দার জাকির হোসেন ও তার সহযোগীদের এরং তার ছেলে সাদ্দাম হোসেন ও তার ছত্র ছায়ায় পালিত চোরদের হাত থেকে সাধারন জনগণ ছোট বড় সকল প্রকার মানুষকে এই মরণ নেশার মারাত্মক ছোবল হতে রক্ষা করুন। ভৈরব শহর একটি প্রয়াত মহামান্য রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের আদর্শে গড়া এই শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত পঞ্চবটি নামক এলাকাটি এই দেশের সচেতন মানুয়ের সম্মুখে জাকির হোসেন ও তার ছেলে সাদ্দাম হোসেন মাদকের বন্দর নগরী গড়ে তুলেছে। এলাকায় বিভিন্ন পদস্থ দলীয় লোকজন ও পুলিশ প্রসাশন এবং সাংবাদিকবৃন্দ থেকে লাভ কি? সে তেমন কোন আওয়ামীলীগের দলীয় বড় নেতা নয়। জাকির বাংলাদেশের একটি সু-শৃংখল রাজনৈতিক দল জনগনের রায়ে বার বার নির্বাচিত দলের নাম বিক্রি করে নিজের পেট ভরছে। তাদের সম্মুখে একজন ভাল মানুষকে মাদকের মরণ থাবায় টেনে নিয়ে যাচ্ছে পঞ্চবটির মাদকের গড ফাদার জাকির হোসেন সহ তার সহযোগীরা। তাহলে বর্তমান সমাজ কী দুই বাপ ও ছেলের নিকট জিম্মি ? পঞ্চবটি এলাকা সবসময়ই দিনের বেলার মত মানুষ মাদকদ্রব্য নিয়ে আশা যাওয়া করে। তাদের চোখে কোন ঘুম নেই। দিন রাত চব্বিশ ঘন্টাই তারা মাদকদ্রব্য বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা বানিয়ে নিচ্ছে। কিছুদিন পূর্বে জাকির হোসেনের  শ্যালক মোঃ নবী হোসেন কে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট সেবন অবস্থায় বার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পেয়ে পুলিশ জেল হাজতে প্রেরণ করে। আসামী নবী হোসেন জানায় যে, তার বোন জামাই মাদকের গড ফাডার জাকির হোসেন লক্ষ লক্ষ টাকা নবী হোসেনকে দিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেট ও ফেন্সিডিলের ব্যবসায় নিয়োজিত করে। উপরে উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে এদেশের সাধারন মানুষ মাদকের মরণ থাবা থেকে বেঁচে যাবে। জাকিরের আলিশান বাড়ীতে জমজমাট জুয়ার আসর দিন রাত চব্বিশ ঘন্টা চলতে থাকে। পঞ্চবটি এলাকায় না গেলে বুঝাই যাবে না মাদকদ্রব্য মানুষকে কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ যদি না হয় হয় তাহলে প্রয়াত মহামান্য রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব জিল্লুর রহমানের আদর্শে গড়া এই ভৈরব শহরের যুবসমাজকে মাদকের মরণ ছোবল  থেকে রক্ষা কোন ভাবে সম্ভব হবে না। ইদানিং ভৈরব থানার কয়েক জন পুলিশ  অফিসার যখন পঞ্চবটি এলাকা সহ অন্যান্য এলাকার মাদাক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার  শুরু করে মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করতে শুরু করে এই সময়ে পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে মাদকের সম্রাট জাকির হোসেন সহ তার সহযোগিরা মিলে বিভিন্ন মহলে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ও মাদকের স্পট থেকে মাসোহারা লেনদেন সহ তাদেরকে মাদক সেবন করার অভিযোগ দিয়ে মিথ্যাচারিতার আশ্রয় নিয়ে তাদেরকে মানসিক ভাবে  হয়রানির ও হুমকি ধামকি দিতে শুরু করে। এতে করে পুলিশ অফিসারদের মন থেকে  মাদক নির্মূলের  উদ্দীপনা নষ্ট করে দিচ্ছে। তারা এখন মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদেরকে ধরতে আগ্রহী নয় । এই ধরনের পুলিশ অফিসারদেরকে উৎসাহিত না করে তাদেরকে অপবাদ, লাঞ্চনা এবং নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে । তাই সমাজের গন্যমান্য ও সচেতন ব্যক্তিদেরকে  মাদকের গড ফাদার  জাকিরে মত  লোকদের সমাজ থেকে উচ্ছেদ করার অনুরোধ জানাচ্ছি ও মাদকের মরন ফাদ থেকে দেশের যুব সমাজ ও সকল প্রকার মানুষকে রক্ষা করার অনুরোধ জানিয়েছেন। ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  মো: সরাফত উল্লাহ সমাজের সকল সচেতন ব্যক্তিদেরকে এক হয়ে ভৈরব থেকে মাদককে নির্মূল করার জন্যও সবার নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন ।

0 comments:

Post a Comment