22:31
0
শান্ত বনিক, মনোহরদী থেকে ফিরে :

নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলাধিন খিদিরপুর ইউনিয়নস্থ রামপুর বাজারের ১নং খাস খতিয়ানভূক্ত সরকারি জমি বিক্রয়ের হিড়িক পড়েছে। জানা গেছে রামপুর বাজারে সরকারি জমি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও বাজারের সেক্রেটারির সমন্বয়ে এলাকার কিছু কুচক্রি মহল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সরকারি খাস খতিয়ানভূক্ত দোকানপাট জমি সহকারে প্রতিনিয়তই ক্রয় বিক্রয়ের করে যাচ্ছে। প্রকাশ্য দিবালোকে বাজারে শালিসি বৈঠকের মধ্য দিয়ে জমজমাট আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে এই সরকারি জমি দেদারছে ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। গত ২ বছরের ব্যবধানে প্রায় ২০/২৫ টি দোকান ঘর জমি সহকারে বিক্রয়ের কারনে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রামপুর বাজার ব্যবসায়িদের মধ্য থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী জানিয়েছে কিছু দালাল চক্রের সাথে গোপন লেনদেন করে এ সকল জমি বিক্রি হচ্ছে। যথাক্রমে মির্জা আলীর ঘর সফু ব্যাপারির নিকট, শামসুস হকের ঘর ইছু মিয়ার নিকট, মতলব মিয়ার ঘর মন্টু দাসের নিকট, নজরুল মিয়ার ঘর হাফিজ উদ্দিন মোড়লের  নিকট, বিণয় দাসের ঘর নজরুল মিয়ার নিকট, রমজান পাঠানের ঘর দুলাল মেম্বারের নিকট, ছিদ্দিক গং এর ঘর মান্নান মিয়ার নিকট, লাল মিয়ার ঘর সাইফুল মিয়ার নিকট, হাফিজ উদ্দিন সরকারের ঘর রুহি দাসের নিকট, রণজিত দাসের ঘর স্বপন দাসের নিকট বিক্রি করা হয়েছে। এছাড়াও আরো অনেক দোকানপাট অর্থের বিণিময়ে বিক্রয় করা হয়েছে। ব্যবসায়ী সূত্র জানায়, সমাজের সচেতন মহলের লোকজন এহেন অচেতন কার্যকলাপের প্রেক্ষিতে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে সরকারি ১নং খাস খতিয়ান ভূক্ত জমি পূণরুদ্ধারের দাবি জানান। জানা যায় রামপুর বাজার কমিটির সেক্রেটারির চরম স্বেচ্ছাচারিতার কারনেই দিনের পর দিন সরকারের ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত জমি মোটা অংকের অর্থের বিণিময়ে বিক্রি করা হচ্ছে। যদিও আধা শতক জমি প্রকৃত দখলদার ও বাজার ব্যবসায়িকে সরকারি নিয়মানুযায়ি একসনা বন্দোবস্তের নিয়ম থাকা সত্ত্বেও সরকারের এ নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে সম্পুর্ণ অবৈধ ভাবে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিক্রয় হচ্ছে। রামপুরবাসির দাবি নরসিংদী জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট, বিষয়টি নজরে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে সরকারের রাজস্ব রক্ষা করা হবে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন।
এ ব্যাপারে মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই তবে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী অতীব গুরুত্ব সহকারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শামসুল হকের ঘর ইছু মিয়ার নিকট ২ লক্ষ টাকা বিক্রয় নিয়ে এলাকায় চলছে কানাঘোষা।

0 comments:

Post a Comment