প্রেস রিলিজ প্রণীত হলো বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৪

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৪ পাস হয়েছে। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু মঙ্গলবার দুপুরে বিলটি সংসদে উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়ে আইনে পরিণত হয়। অসুস্থ, অসচ্ছল ও দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক এবং নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সাহায্য, বিশেষ অবদান ও মোধাবী সন্তানদের জন্য বৃত্তি বা মঞ্জুরী প্রদান করবে এই ট্রাস্ট। এছাড়া, অবসরপ্রাপ্ত বা প্রয়াত প্রথিতযশা দুস্থ সাংবাদিক বা তার পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেয়া ও তাদের কল্যাণ সাধনও ট্রাস্টের কাজের অন্তর্ভূক্ত। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বিলটি উত্থাপনকালে বলেন, ‘বাংলাদেশের অসুস্থ, অসচ্ছল ও আহত সাংবাদিকদের মধ্যে এবং নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের অনুকূলে নিয়মিতভাবে সহায়তা ভাতা বা অনুদান প্রদান ও তাদের কল্যাণ সাধনের জন্য একটি স্থায়ী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রয়োজন’। মন্ত্রী বলেন, ‘উক্ত প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গঠনের লক্ষ্যে ‘ বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৪’ শীর্ষক বিলটি আইনে পরিণত করা আবশ্যক বিধায়, বিবেচনা ও অনুমোদনের জন্য এই মহান সংসদে উত্থাপন করা হলো’। এরপূর্বে গত ২ এপ্রিল বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন তথ্যমন্ত্রী। জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ২৪৬ ধারা অনুসারে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠালে দুটি শব্দগত সংশোধনীর সুপারিশসহ তা সংসদে প্রেরণ করে কমিটি। তথ্যমন্ত্রীকে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, তথ্য সচিবকে ভাইস-চেয়ারম্যান করে ১৩ সদস্যের ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। বোর্ডে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন মনোনীত ২ জন এবং সরকার মনোনীত ৩ জন সাংবাদিক প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। বিলে সাংবাদিকের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘সাংবাদিক অর্থ কোন ব্যক্তি যিনি একজন সার্বণিক সাংবাদিক এবং যিনি প্রিন্ট অথবা ইলেট্রনিক মিডিয়ায় কাজে নিয়োজিত আছেন এবং কোন সম্পাদক, সম্পাদকীয় লেখক, সংবাদ সম্পাদক, উপ-সম্পাদক, ফিচার লেখক, রিপোর্টার, সংবাদদাতা, কপি টেস্টার, কার্টুনিস্ট, সংবাদ চিত্রগ্রাহক, ক্যালিগ্রাফিস্ট এবং প্রুফ রিডারও এর অন্তর্ভুক্ত হবে।